Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Forest Conservation Ammendment Bill : বণভূমিকে ধ্বংস সাথে পুঁজিপতিদের হাতে বিস্তীর্ণ অরণ্যভূমি তুলে দেওয়া মোদি সরকারের উদ্দেশ্য বক্তব্য বিরোধীদের

 লোকসভায় পাস হয়েছিল এবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল। বুধবার বিলটি সংসদের উচ্চ কক্ষে পাস করানো হয়েছে ।

                             

Forest Conservation Ammendment Bill : বণভূমিকে ধ্বংস সাথে পুঁজিপতিদের হাস্তীর্ণ অরণ্যভূমি তুলে দেওয়া মোদি সরকার

 এই বিল (Forest Conservation) আওতায় দেশের সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত নির্মাণের অনুমোদন থাকছে অরণ্যভূমির ভিতর নির্মাণে ছাড় দিলো মোদী সরকার। এই সমস্ত জায়গায় রাস্তা, রেস্তরাঁ, এবং অন্য নির্মাণ করতে পারা যাবে বলে প্রস্তাব রয়েছে বিলটিতে (Forest Conservation)।

 

 একই সাথে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে  বাড়তি জমি ব্যাবহার সেটির সুপারিশ আছে বিলটিতে। Forest Conservation (Amendment) Bill আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরিবেশবিদ থেকে রাজনৈতিক মানুষজন সংরক্ষিত বণভূমিকে ধ্বংস সাথে পুঁজিপতিদের হাতে বিস্তীর্ণ অরণ্যভূমি তুলে দেওয়া , কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি  সরকারের উদ্দেশ্য একযোগে আক্রমণ বিরোধীদের। 


১৯৮০ সালের বনভূমি সংরক্ষণ আইন(Forest Conservation Act)। পাস হয়েছিল। যাকে বলা হতো 'অরণ্যের অধিকার আইন'ও । নির্বিচারে বনভূমি নিধন রোধে এই আইন কার্যকর করা হয় সেই সময়। বনভূমিকে আনা হয় সংরক্ষণের আওতায়। কড়া নিয়মবিধির মধ্যে প্রকৃতিবিরোধী  কোনও কর্মকাণ্ড রুখতে চালু হয় কড়া বিধিনিয়ম। সেই আইনে এবার সংশোধন করে রাজ্যসভায় নয়া সংশোধনী বিল পাস করিয়ে নিলো কেন্দ্র।


কেন্দ্রের দাবি, বনভূমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে নতুন এই আইনের সংশোধনে। স্থানীয় মানুষ সামিল হবে উন্নয়নের মূল স্রোতে। এই বিলের সুপারিশ নিয়ে বিপত্তি বেঁধেছে পরিবেশবিদদের সাথে।


 তাদের বক্তব্য নয়া সংশোধনী বিলে  সবুজ অরণ্য এবং বনভূমি এলাকায় প্রকৃতিবান্ধব কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রে লাগবে না সরকারি অনুমোদন।  চিড়িয়াখানা, হোটেল, রেস্তঁরা, পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে পারবেন উদ্যগতারা। জমি জরিপ ও যাচাই করতেও লাগবে না নথিপত্র।


বনভূমিক সংশোধনী বিল (Forest Conservation  Bill) এর আওতার বাইরে রেললাইন, সরকার নিয়ন্ত্রিত সড়ক, নিয়ন্ত্রণরেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন সংরক্ষিত বনভূমিগুলিকে রাখা হয়েছে। 


 মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা ,  সেনাশিবির আছে বাদ গেছে সেই এলাকাও।  দশ হেক্টর জমি দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তালিকায় সেগুলিও বাদ গেছে।

বনভূমিতে এর ফলে অত্যাচার বৃদ্ধি পাবে যুক্তি পরিবেশবিদদের। বিলটির বিরোধিতায় সংসদে বিরোধীরা আপত্তি জানায়।কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ট NDA সামনে ধোপে টেকেনি বিরোধীদের আপত্তি।

উপস্থিত সংসদীয় কমিটির একত্রিশ জন সদস্যের অনুমোদনে পাশ হয়ে গেলো বিলটি। রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষায় আছে বিলটি তারপরই আইনত সিলমোহর পড়বে তাতে।


সংরক্ষিত বনভূমিতে সরকারি নির্মাণ করতে গেলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।কেন্দ্রের যুক্তি, সেই কারণে আইনে সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। বুধবার সংসদে এই দাবি করেন দেশের পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।



 পরিবেশবিদরা এবার আইনি পথে এগনোর কথা ভাবছেন কেউ কেউ। নয়াদিল্লি পরিবেশবিদ বাহার দত্ত বলেন, "মনুষ্যঘটিত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রমাণ আমাদের চোখের সামনেই রয়েছে। এমত অবস্থায় বনভূমি নিধনের পরিবর্তে, তাকে সংরক্ষণ করাই বিচক্ষণতার পরিচয়।"


পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনভূমি রক্ষার আইনে রদবদল ঘটানোর বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পরিবেশ এবং সমাজকর্মীরা।

জনজাতি সংগঠণের তরফে এবং ৪০০ জনের পরিবেশকর্মী চিঠিও লেখা হয় কেন্দ্রকে। 


সোশ্যাল মিডিয়াতেও লাগাতার প্রচার চলছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আওয়াজ উটছেবনভূমি রক্ষার  কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করা হয়নি সংশোধন আনা হয়নি বিলে এবং অভিযোগ নিয়ে সাফাইও দেওয়া হয়নি কোনও।

এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হলেসংজ্ঞা পালটে যাবে বনভূমির। সবুজ এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। এত দিন ধরে সংরক্ষিত দেশের ২৫ শতাংশ বনভূমিই আইনি রক্ষাকবচ থাকছেনা।



এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, "এতে শুধুমাত্র বাস্তুতন্ত্রই বিঘ্নিত হবে না,একই সাথে ভারসাম্য নষ্ট হবে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল , উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে । বনভূমির উপর যারা জীবনধারণ করে ভরসা করে জীবিকা চালান বহু মানুষ। তাঁদের জীবন-জীবিকা সঙ্কটে পড়বে।" মোদি সরকার শিল্পপতি বন্ধুদের জন্যই বনভূমি ধ্বংসের রাস্তা পরিষ্কার হলো অভিযোগ উঠছে বিরোধীদের তরফে।


ছত্তীসগঢ়ের হাসদেও আরান্ডের সেখানে খনির পরিধি বিস্তারে ৩ হাজার একর বনভূমিতে খনির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। আপত্তি জানানো হয়েছিলো সরকারের বন্যপ্রাণ সংস্থার তরফে ।

আদানি গোষ্ঠীকে অনুভূমিক ভাবে সেখানে কয়লা খনির আয়তন বৃদ্ধিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয় । মধ্যভারতের এমন একমাত্র অরণ্য ওই হাসদেও আরান্ড। 


এই বিষয়ে ২০১৯ তখন মে মাস থেকে ২০২১  ফেব্রুয়ারী সমিক্ষা চলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এডুকেশন এবং ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া তরফে,  সরকারী সংস্থা খনির আয়তন বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় ।  বনভূমি নিধনে ছাড়পত্র পেয়ে যায় এর পরেও আদানি গোষ্ঠী।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ